আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রীত কাশ্মীরের সোপিয়ানে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকসহ পাঁচ স্বাধীনতাকামী নিহত হয়েছেন।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এসপি ভাইদ বলেছেন, ‘সোপিয়ানের বাদিগাম ও জিনপোরায় পাঁচজন ‘সন্ত্রাসীর’ মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’
ভারত সরকারের ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত’ দল হিজবুল মুজাহিদীনের শীর্ষ নেতা সাদ্দাম পাদ্দেরও নিহতের কথা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের কয়েকটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ রাফি ভাট মাত্র কয়েক বছর আগে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিয়েছিলেন।
রাফি ভাট শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ভাটকে আত্মসমর্পণে রাজি করাতে পুলিশ তার বাবা-মাকে গানডারবাল জেলা থেকে সোপিয়ানে নিয়ে এসেছিল, কিন্তু ভাট আত্মসমর্পণে রাজি হননি।
এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শৈলেন্দ্র মিশ্র বলেছেন, ‘তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিলাম আমরা, কিন্তু গুলিবর্ষণ অব্যাহত রাখে তারা।’
নিরাপত্তা বাহিনী যখন অভিযান শুরু করে তখন অধ্যাপক ভাট হিজবুল কমান্ডার সাদ্দাম পাদ্দারের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন বলে জানা গেছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ) ও সেনাবাহিনী বাদিগাম গ্রামে লুকিয়ে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘিরে ফেলে।
পুলিশ বলছে, ‘বেষ্টনি দৃঢ় করা হলে আটকা পড়া জঙ্গিরা গুলি করা শুরু করে, এতে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়ে।’
সোপিয়ানের এ বন্দুকযুদ্ধে এক সৈন্য ও এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো দক্ষিণ কাশ্মীরজুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।